মা ও বউ দুজনকেই খুশি রাখবো কিভাবে? gadgetsbdnews

 বর্তমান সমাজে ঘরে ঘরে বউ শ্বাশুড়ির ঝগড়া। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। কি বিশ্রী ঝগড়া! কিন্তু বউ এবং শ্বাশুড়ি যদি কিছুটা 'ছাড়' দিতে শিখতো- তাহলে ঝগড়া হতো না। 'ছাড়' দেওয়ার মানসিকতা থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান এমনিতেই হয়ে যায়। মা অনেক বড় বিষয়। আবার স্ত্রীকেও ছোট করা ঠিক হবে না। হিসাব করে চললে, বুদ্ধি করে চললে মা এবং স্ত্রী দুজনকেই খুশি রাখা যায়। যেটা আমি পেরেছি। আমার ভাইয়েরা পেরেছে। আমাদের সংসারে অনেক গুলো সদস্য। একান্নবর্তী পরিবার আমাদের। আমরা ভাল আছি। আনন্দে আছি।

বেশির ভাগ মা মনে করেন ছেলে বিয়ের পর বদলে যায়। পর হয়ে যায়। এজন্য মা ছেলের বউয়ের উপর রেগে থাকেন। কখনও কখনও রাগ প্রকাশও করে ফেলেন। অথচ ছেলে বিয়ের পর বদলায় না। ছেলে বিয়ে করুক আর না করুক মা তো মা'ই। মায়ের জায়গা কেউ নিতে পারে না। সেটা সম্ভব না। সমাজে কিছু নীচু মানসিকতার লোক আছে তাঁরা বলে, মা আগে না বউ আগে? আরে গাধা মায়ের সাথে বউয়ের তুলনা হয়? শিক্ষিত পরিবারে সাধারণত ঝগড়া কম হয়। কারন তাঁরা সমাজ, সংসার, মানুষ ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারনা রাখেন। তাছাড়া খেয়াল করে দেখবেন ঝগড়া করে শেষমেষ কিছুই পাওয়া যায় না।

আমি বিয়ে করেছি। আল্লাহর রহমতে আমার মা এবং বউকে নিয়ে কোনো রকম সমস্যা হয় নাই। আমরা চার ভাই। আমাদের কোনো বোন নেই। আমাদের বাসায় মোট চারটা বউ। কখনও কারো সাথে কারো ঝগড়া বা মনোমালিন্য হয়নি। সবাই মিলেমিশে থাকে। আমার মায়ের সাথে তাদের সম্পর্ক বান্ধবীর মতোন। তারা পাঁচজন মিলে ঘন্টার পর ঘন্টা গল্পে করে। আমার মার চার ছেলের বউ'ই মাস্টার্স পাশ। সবার মন মানসিকতা উন্নত। কারো মধ্যে কোনো কুসংস্কার নেই। বরং মার জন্য বউয়ের সাথে ঝগড়া করতে পারি না। কিছু বললেই মা এসে সামনে দাঁড়ায়। বলে, খবরদার। আমি এখনও বেঁচে আছি।


মা ও বউ দুজনকেই খুশি রাখবো কিভাবে? gadgetsbdnews


আমার মা একজন আধুনিক মানুষ। মার মধ্যে কোনো কুসংস্কার নেই। মা দুই হাতে টাকা খরচ করে। মা যখন তাঁর ছেলের বউদের সাথে গল্প করে। আমি যদি বলি, আজ তোমাদের রান্না নাই? তখন মা বলে আজ রান্না বন্ধ। আজ রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার কিনে আনা হবে। টাকা আমি দিবো। তোমরা যে যা খুশি খাও। আব্বা সব সময় বলতো- বউদের সাথে কখনও ঝগড়া করবে না। খবরদার। ওদের আদর যত্নে রাখবে। আমি যেন কোনোদিন না শুনি বউদের সাথে উচ্চ গলা করেছো। আমরা চার ভাই বাবা মার খুব ভক্ত। বাবা মার কথা গুরুত্বসহকারে মাথা পেতে মেনে নেই ছোটবেলা থেকেই। আমি ভুল করলে এখনও সুরভি আমার মায়ের কাছে গিয়ে বিচার দেয়। মা বাবাকে আমরা চাই ভাই খুব ভালোবাসি।

মাকে সময় দিবেন। মার সাথে গল্প করবেন। মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবেন। মা যে খাবার পছন্দ করে তাকে সেটা এনে দিবেন। দেখবেন মা সব সময় খুশি থাকবে। আপনার স্ত্রীকে বলবেন, মাকে চা বানিয়ে দিতে। ওষুধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিতে। মানুষের যখন বয়স হয়ে যায় তখন তাঁরা টাকা পয়সা চায় না। তাঁরা চায় সময়। তাঁরা চায় ভালোবাসা। একজন মা বাবা তার সন্তান এবং সন্তানের বউয়ের কাছে সময় চায় এবং ভালোবাসা চায়। আপনারা স্ত্রীকে বললেন, মাকে যেন সময় দেয়। গল্প করে। একা ভালো থাকা ভালো না। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে হবে। সেটাই আসল ভালো থাকা। আর যেসব স্ত্রীলোক স্বামীদের কানপড়া দেয় তাঁরা বদ। ওদের কথা এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে টুশ করে বের করে দিবেন। স্ত্রীর কথা শুনে ঘরে অশান্তি করবেন না।

Post a Comment

Previous Post Next Post