NFC কাকে বলে? What is NFC of android phone- Gadgetsbdnews

NFC কাকে বলে? What is NFC


NFC এর পূর্ণ অর্থ হল Near Field Communication, নাম শুনে হয়তো বুঝতে পারছেন কী কাজ করতে পারে এই যন্ত্রটি। NFC হল কিছু স্ট্যান্ডার্ড যা আপনার স্মার্টফোন অথবা অন্য ডিভাইসগুলোকে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে রেডিও সিগন্যাল ব্যবহার করে যখন ডিভাইসগুলো একটি অপরটির কাছে আসে। NFC মূলত RFID এর মতো করে কাজ করে, কিন্তু NFC এর যোগাযোগ করার সীমানা বা দূরত্ব RFID এর থেকে কম। NFC এর যোগাযোগ এর সীমানা হল ৪ ইঞ্চি যা এটিকে হ্যাক করা, মাঝখানে আড়িপাতা অথবা যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটানোকে কষ্টকর করে তুলেছে।

চলুন NFC এর সেরা পাঁচটি ব্যাবহার সম্পর্ক জানি;

NFC কাকে বলে? What is NFC of android phone- Gadgetsbdnews

১। Data Transfer– আপনি এনএফসির সাহায্যে আপনার ফোমের ডাটা ট্র্যান্সফার করতে পারবেন। মনে করুন আপনার কাছে দুটি এনএফসি অ্যানাবল ফোন রয়েছে। এই অবস্থায় আপনার দুই ফোনটিকে একে অপরের অনেক কাছে নিয়ে আসুন। এবার টাচ করার সাথে সাথেই আপনার দুই ফোনেই অপশন চলে আসবে। এবার যে ফোন থেকে আপনি কিছু পাঠাতে চান সেখান থেকে জাস্ট ফাইলটি পাঠিয়ে দিন। ফাইলটি চলে যাবে আরেকটি ফোনে। ব্লুটুথের মতো আপনাকে কোন পেয়ারিং বা কোন কোড প্রবেশের প্রয়োজন একদমই পড়বে না। জাস্ট ফোন দুটি টাচ করানোর মধ্য দিয়েই পেয়ারিং নিজে থেকেই হয়ে যাবে এবং আপনি ডাটা অনেক সহজেই পাঠাতে পারবেন। এটিই এনএফসির অনেক বড় একটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা।

২। Divice Pairing– এটি NFC সবচাইতে ভালো একটি ব্যবহার, একটি ডিভাইজের সাথে আরেকটি ডিভাইজ পেয়ারিং করা। মনে করুন আপনি একটি নতুন ব্লুটুথ স্পীকার কিনলেন অথবা আপনি একটি ব্লুটুথ হেডফোন কিনলেন বা এই রকমেরই আপনি অন্য কোন গ্যাজেট কিনলেন। তো আগে কি হতো দেখুন প্রথমে আপনার ঐ ডিভাইজটির ব্লুটুথ অন করতে হতো তারপর আপনার ফোনের ব্লুটুথ সেটিংসে গিয়ে ডিভাইজ অনুসন্ধান করতে হতো। তারপর ডিভাইজটিতে একটি নির্দিষ্ট পিন প্রবেশ করিয়ে পেয়ার করতে হতো। তো এটি অনেক লম্বা একটি প্রসেস ছিল। এবং যখন কোন নতুন ইউজার কানেক্ট করতে চাইবে তখন অনেক সময় লেগে যাবে। কিন্তু NFC এই কাজটি অনেক সহজ করে দিয়েছে। মনে করুন আপনার সামনে একটি ব্লুটুথ স্পীকার রয়েছে এবং তার পাওয়ার অন করা আছে। এখন জাস্ট আপনার ফোনের NFC অন করুন এবং স্পীকারটির সাথে আপনার ফোন টাচ করার ব্যাস যতো প্রকারের পেয়ারিং আছে ডিভাইজ দুইটি এখন তা নিজে থেকেই সম্পূর্ণ করে নেবে। NFC সাহায্যে দুটি সমর্থনকারী ডিভাইজের মধ্যে আপনি অনেক সহজেই Pairing করতে পারবেন তাও আবার শুধু Touch করিয়ে।

৩। Mobile Payment– তৃতীয় সুবিধাটি হচ্ছে আপনি এনএফসির মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। আজকাল অ্যান্ড্রয়েড পে অনেক জনপ্রিয় এবং Samsung Pay ও Apple Pay ও অনেক জনপ্রিয়। তো এই সকল পেমেন্ট সিস্টেম এনএফসির উপরই কাজ করে। আপনি যখন শপিং করতে যান এবং সেখানে ক্রেডিট কার্ড সয়াইপ করার জন্য যে টার্মিনাল থাকে তা আজকাল Nfc Enabled হয়ে থাকে। এখন যদি আপনি আপনার ফোনে ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড ইনফরমেশন সেভ করে রাখেন তবে ফোনে অ্যাপ্লিকেশন অন করে ব্যাস টার্মিনালের উপর ধরেন, আপনার পেমেন্ট হয়ে যাবে। আপনার একদমই কোন ফিজিক্যাল প্ল্যাস্টিক কার্ড বহন করার প্রয়োজন পড়বে না। শুধু ফোন সাথে থাকলেই হবে।

৪। NFC Tag– চতুর্থ নাম্বার ব্যবহার হলো এনএফসি ট্যাগ। এটি অনেক ছোট একটি ডিভাইজ হয়ে থাকে পাশাপাশি বিভিন্ন আকারের হতে পারে। এবং এই ট্যাগে আপনি অনেক ছোট পরিমানের ডাটা সংরক্ষন করে রাখতে পারেন। অনেক ছোট ডাটা। মনে করুন আপনার কন্টাক্ট তথ্য অবথা ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড হতে পারে আবার আপনার ফোনের সেটিংস ব্যাকআপ হতে পারে। এই ট্যাগ কার্ড গুলো অনেক সহজেই পাওয়া যেতে পারে এবং আপনি বড়ই আরামে এগুলো কনফিগার করতে পারেন। এখন মনে করুন আপনি একটি এনএফসি ট্যাগে আপনার ঘরের ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড সেভ করে রেখেছেন এবং দেওয়ালে কোথাও চিপকে লাগিয়ে রেখেছেন। এখন যদি আপনার ঘরে কোন বন্ধু আসে এবং আপনাকে বলে যে আপনার ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড বলতে। তো আপনি জাস্ট তাকে ঐ ট্যাগটি দেখিয়ে দিন এবং যদি যে ঐ ট্যাগে তার এনএফসি অ্যানাবল ফোন টাচ করে তবে সাথেসাথে তার ফোনে পাসওয়ার্ড চলে যাবে এবং আপনার ওয়াইফাই নেটওয়ার্ককের সাথে কানেক্ট হয়ে যাবে। আপনার বন্ধুকে পাসওয়ার্ড বলারও প্রয়োজন পড়বে না আপনার। আবার হয়তো অনেকে গাড়ীতে এনএফসি ট্যাগ লাগিয়ে রাখে। যখন সেখানে ফোন টাচ করা হয় তখন হয়তো আপনার ফোনে ন্যাভিগেশন অ্যাপ ওপেন হয়ে যাবে অথবা আপনার গাড়ীর মিউজিক সিস্টেমের সাথে আপনার ফোন Pair হয়ে যাবে। এসকল বিষয় কাজে লাগতে পারে NFC ট্যাগের মাধ্যমে।

৫। NFC Business Card– আজকের শেষ ব্যবহারটি হলো এনএফসি বিজনেস কার্ড। এটি অনেক জনপ্রিয় একটি ব্যবহার আজকের দিনে। এটি দেখতে একদম আপনার নরমাল বিজনেস কার্ড বা ভিসিটিং কার্ডের মতোই হয়ে থাকে কিন্তু তা এনএফসি অ্যানাবল হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে আপনি আপনার কার্ডে যা তথ্য লিখবেন তা তো থাকলোই এবং সাথে আপনি এনএফসি চিপে অনেক তথ্য সংরক্ষন করে রাখে পারবেন। সেখানে আপনার কন্টাক্ট নাম্বার, আপনার বিজনেস ওয়েবসাইট লিঙ্ক, ফেসবুক ফ্যান পেজ লিঙ্ক, টুইটার লিঙ্ক, লিঙ্কডইন লিঙ্ক ইত্যাদি রাখতে পারবেন। এবং এটি এনএফসি অ্যানাবল্ড মোবাইল যখনই ঐ কার্ডে টাচ করানো হবে তখন সেখানকার সংরক্ষিত সকল তথ্য আপনার মোবাইল ফোনে চলে আসবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post