kivabe meye potabo কোন ধরনের কথা বললে মেয়েরা বেশি আকৃষ্ট হয়? gadgetsbdnews

কোন ধরনের কথা বললে মেয়েরা বেশি আকৃষ্ট হয়?






খুব জটিল বিষয়াদি নিয়ে মেয়েদের সাথে আলোচনা করবেন না। দৈনন্দিন সাধারন বিষয়াবলী নিয়ে আলোচনা করুন। তিনি কীভাবে সময় কাটান সেটা জানতে চান। তার রুচি, আগ্রহ ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চান। কি ধরনের খাবার তিনি খেতে পছন্দ করেন টক, ঝাল, না মিষ্টি, বেশি ঝাল, না কম ঝাল ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করুন। মেয়েটির পিতা মাতার সম্মন্ধে জানতে চান। তাদের রুচি এবং চাহিদার বিষয়ে জানতে চান। পিতা বা মাতা কিভাবে সময় কাটায় সে বিষয়ে জানতে চান। পিতা বা মাতা ভাই-বোনদের মধ্যে কাকে বেশি পছন্দ করেন সেটা জানতে চান। কোন রঙের কাপড় মেয়েটির পছন্দ সেটা জানতে চান। যে কাপড়টা মেয়েটি পড়ে আপনার সামনে এসেছে সেই কাপড় সম্বন্ধে প্রশংসা করুন। এই কাপড়টা কোথা থেকে কেনা হয়েছে বা এটার আরো অন্য কোন রং আছে কিনা বা এটা কোথাকার দর্জি তৈরি করে দিয়েছে সেটা সবিস্তারে জানতে চান।

মেয়েটির শহরের কোন কোন রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করেছে সেটা জানতে চান। কোন রেস্তোরাঁটির খাবার তার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে সেটা জানতে চান। আপনি একদিন তাকে সেই রেস্তোরাঁয় নিয়ে সেই রেস্তোরাঁর খাবার পরখ করে দেখতে চান এটাও আপনি বলুন। তার নানু দাদু কে তাকে বেশি আদর করে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান। দেশে বা দেশের বাইরে কোথায় কোথায় বেড়াতে গিয়েছিল সেগুলো সব স্থানের বিষয়ে জানতে চান। সেই সব জায়গায় বেড়াতে গিয়ে কি কি দেখছে, কি কি খেয়েছে বা কেমন নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চান।

মেয়েদের বিভিন্ন সমকালীন বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন যেমন টিপ দেওয়া না দেওয়া নিয়ে তার অভিমত জানতে চান। মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের পোশাক-আশা, গয়না এবং নানা প্রকারের শাড়ির সম্বন্ধে ধারণা নিয়ে রাখুন, সেগুলো নিয়ে কৌতুহল দেখান এবং আলোচনা করুন। মেয়েটি যখন কথা বলবে তখন গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনবেন। কখনো কখনো পুরোনো প্রসঙ্গে বা পুরোনো যে গল্প তিনি করেছিলেন সেটার আবার তুলুন, নতুন করে শুনতে চান। মাঝে মাঝে তিনি যে কৌতুককর ঘটনার মুখোমুখি হয়ে ছিলেন সেটা নিয়ে ঠাট্টা করুন। এভাবে একটা চমৎকার সম্পর্ক বিল্ডআপ করবে। সে সময়ে সুযোগমতো তার চোখের, নাকের গঠনের বা চুলের বা দৈহিক গঠনের প্রশংসা করুন। কখনোবা মেয়েটির হাতের আংগুলের দিকে তাকিয়ে বলবেন আঙ্গুলগুলো অনেক সুন্দর একটু ধরে দেখতে ইচ্ছে করে কিন্তু ধরবেন না, অথবা বলতে পারেন আপনার চুলগুলো দারুন তো একটু হাত দিয়ে দেখি কিন্তু চুলে হাত দেবেন না। এই প্রসঙ্গে তিনি কি শ্যাম্পু ব্যবহার করেন সেটা শুনে নিন।

মেয়েটিকে সব সময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখুন আর সর্বদা সে যাই বলুক না কেন সেটা শুনতে থাকবেন, যে কোনো মেয়েই একজন ভালো শ্রোতাকে দারুণ পছন্দ করে।

মাঝে মাঝে ঝগড়া বাধাবেন ইচ্ছে করে। ওই ঝগড়ার মাঝেই বলবেন সেদিন না আমাকে আপনি ওই বিষয়টা নিয়ে ধমকে ছিলেন তাতে আমি বেশ কষ্ট পেয়েছি। ছোটখাটো পারিবারিক বিষয়গুলো জানতে চান এবং তিনি যদি কর্মজীবি হন তবে তার কর্মস্থলের মজার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন। মেয়েটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চান এবং সেগুলোকে এপ্রিশিয়েট করুন। মাঝে মাঝে অন্য মেয়েদের কথা বা আচরণ নিয়ে মজার আলোচনা করুন। মেয়েটি ধর্মকে কতটা গুরুত্ব দেশ সেটা জানতে চেষ্টা করুন। যদি ধর্মকে তেমন গুরুত্ব না দেয় তবে মধ্যপন্থা যে সবথেকে উত্তম সেটা নিয়ে আলোচনা করুন।

কথার মাঝে হঠাৎ মেয়েটিকে থামিয়ে দিয়ে বলবেন-

সুরঞ্জনা, ওইখানে যেয়ো নাকো তুমি

বোলোনাকো কথা ওই যুবকের সাথে /

তারপর বলবেন, জানো তুমি গতকালকে যখন ওই ছেলেটির সাথে কথা বলছিলে তখন আমার খুব ঈর্ষা হচ্ছিল। এমন কিছু রোমান্টিক কবিতার লাইন শিখে নেবেন এবং মাঝে মাঝে প্রসঙ্গক্রমে তা আওড়াবেন। আশা করি এই পদ্ধতিতে কোন মেয়ের মন জয় করতে পারবেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post